বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১০

স্বেদবিন্দু


আমার পাশে বসে থাকা নিরীহ কবির শব্দগুলো
আমার বোধের প্রাচীর টপকে সীমানা পাড়ি দিচ্ছিলো
ঈশ্বরের মত নিরাবেগ ভাবালুতায় আমি উদ্বেল
তাই বোধের অবাধ বিচরনের মাঝে নির্বোধ থেকেও
আমি জ্ঞানী পুরুষের মত ঈশ্বরচিন্তিত হয়ে যাই।
অর্থহীন সব; শুধু ঘাসফুল, ফড়িং আর
সার্কাস রমনীর উৎফুল্ল নিতম্ব ছাড়া
ভাবলেষহীন মুখের সব আনন্দেরর অভাব
রেসের ঘোড়ার মত যেখানে টগবগ
দর্শকদের চোখ কবির মতই ফড়িং হয়ে
ছুটে বেড়ায় দেহের এক ঘাসফুল হতে অন্যত্র
আর শীতল মুখের গন্তব্যে পৌছেই মৃত্যুভয়ে
ইশ্বরচিন্তার মত মগ্নতায় নির্বাসন নেয়।
আর তারপরই সর্বহীনতার মাঝে
হৃদয়ের প্রতিটি কুঠুরী থেকে
ভালোবাসা নামক জোনাকীরা মার্চ করে বেরিয়ে আসে
প্রতিটি রক্তকনায় তাদের চোরাগোপ্তা হামলায়
সোনালী শিশির আর অশ্রুর মত আনন্দে সৃষ্টি করে স্বেদবিন্দু।
যে আঙ্গুলটি আমার ঠোট ছুয়েছিলো অজান্তে
সে জানেনি, কিন্তু জোনাকিরা আর কখনোই
সে দূর্গ ছাড়েনি, অন্তর্গত স্বেদবিন্দুর লোভে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন